মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স

শোষিত ও বঞ্চিতের পাশে

মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স

রক্তদাতা নেটওয়ার্কে যুক্ত হোন

এগিয়ে আসুন, বঞ্ছিত মানুষের পাশে দাঁড়ান

মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স

জরুরি অক্সিজেন সেবা

২০২১ সালে অতিমারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের গোটা মানবসমাজে একটি আতঙ্ক হিসেবে দেখা দেয়। সাধারণ মানুষের মাঝে সেই ভয় আরও প্রকট হয় যখন দেশে প্রতিদিন  শতশত মানুষের মৃত্যুর খবর পেতে থাকে। আমরা দেখেছি, জেনেছি করোনাক্রান্ত অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে। মুমূর্ষু সেইসব মানুষের কাছে অক্সিজেন সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যেই মৈত্রী মানবিক সহায়ক কমিটি গঠন করে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স!

৫০০০+

২৫০+

অক্সিজেন সিলিন্ডার

সেবা গ্রহিতা

মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স শোষিত

ও বঞ্চিতের পাশে

শোষিত ও বঞ্চিতের পাশে ভলান্টিয়ার্স। ২০২০ সালে, অতিমারির ভয়াবহ সময়ে যখন পুরো দেশ লকডাউনের অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছিল শ্রমজীবী মানুষ। কাজ হারিয়ে, খাবারের সংকটে, চিকিৎসার অভাব, অক্সিজেনের অভাবে যখন হাজারো পরিবার দিশেহারা, তখনই ছাত্র মৈত্রীর কিছু সাবেক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকেই গড়ে ওঠে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স-সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অদম্য প্রয়াস।

মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স

প্রাণিকুলের পাশে

অতিমারী করোনায় যেমন মানুষ ভাল ছিলোনা, তেমনি একই অবস্থা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুর-বিড়ালেরও! কাজের সুযোগ না থাকায় ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে মানুষকে; লকডাউনের কারণে বন্ধ হোটেল-রেস্তোরাঁও! যেখান থেকে যোগান হতো এইসব প্রাণিকুলের খাবার। সেকারণে ক্ষুধার্ত হয়ে ঝিম মেরে থাকে কুকুর-বিড়াল। এই শহরের মানুষের কাছাকাছি থেকে খাবার পেতো কুকুরগুলো। কিন্তু মানুষেরই তখন দু'মুঠো খাবার জোগাড় করতে নাভিশ্বাস উঠছে। সেকারণে খাবারবঞ্চিত এইসব প্রাণিকুলের জন্যে আয়োজন করা হয়েছিল খাবারের।

২৯ জুলাই ২০২১, যশোর

বিনামূল্যে রক্তদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আমাদের সদস্যরা নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদান করে এবং যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে রোগীদের রক্তের ব্যবস্থা করতে সহায়তা

দুর্যোগ সহায়তা

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বা যেকোনো সংকটকালীন সময়ে আমরা জরুরি খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা, আশ্রয় ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা

শ্রমিক, কৃষক ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণ

শ্রমজীবী মানুষের সহায়তা

মৈত্রী হাট

করোনা মহামারির সময় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ হিসেবে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স আয়োজন করেছিল মৈত্রী হাট। এই কার্যক্রমে ১৫০০ প্যাকেট প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়  হয়। 

  • মাত্র ১৫০ টাকায় ৩৩৫ টাকার পণ্য দেওয়া হয়।

  • ৯ আগস্ট ২০২১ থেকে ৬ দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলে।

  • প্রতিদিন প্রথম ৩০০ জন ক্রেতা পণ্য সংগ্রহের সুযোগ পান।

টেলিমেডিসিন সেবা

করোনা মহামারির সংকটময় সময়ে মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। হাসপাতালের শয্যা সংকট, অক্সিজেনের অভাব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ না পাওয়ার সমস্যার সমাধানে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স এগিয়ে আসে জরুরি অক্সিজেন সেবা পাশাপাসি টেলিমেডিসিন পরামর্শ নিয়ে।

শ্রমজীবী মানুষের পাশে

মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স

আমার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হাসপাতালে জায়গা মিলছিল না, আর আমাদের এলাকায় তখন অক্সিজেনের সঙ্কট তীব্র। এক বন্ধুর পরামর্শে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়—কল করার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকেরা আমাদের বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে হাজির হন। শুধু সরঞ্জামই নয়, তারা বাবার পাশে দাঁড়িয়ে মনোবলও বাড়িয়ে দেন। আজ আমার বাবা বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন-এই সহানুভূতিশীল মানুষগুলোর কারণে।

রাকিব হাসান, পেশায় শিক্ষক

A hand is holding up a cardboard protest sign with bold, handwritten lettering. The sign has a message about neutrality and oppression, emphasizing a strong stance on social justice issues.
A hand is holding up a cardboard protest sign with bold, handwritten lettering. The sign has a message about neutrality and oppression, emphasizing a strong stance on social justice issues.

২০২১ সালের মে মাসে আমি যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্বাস নিতে পারছিলাম না, তখন পরিবারে কেউ বুঝে উঠতে পারছিল না কী করব। হাসপাতালগুলোতে তখন শয্যা নেই, অক্সিজেন নেই—এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। ঠিক সেই সময়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স। রাত ২টার সময় আমাদের বাসায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেয় এক তরুণ স্বেচ্ছাসেবক।

আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না—এখনো এমন মানুষ আছে, যারা শুধু মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসে।

রাবেয়া ইসলাম, ৫২, করোনা-সুস্থ

A poster is pasted on a rough, beige wall. The text on the poster is in Italian, emphasizing the importance of social interaction and relationships in education. It calls for more open schools with additional teachers and classrooms, and ends with a hashtag.
A poster is pasted on a rough, beige wall. The text on the poster is in Italian, emphasizing the importance of social interaction and relationships in education. It calls for more open schools with additional teachers and classrooms, and ends with a hashtag.
★★★★★
★★★★★